Search

    Language Settings
    Select Website Language

    GDPR Compliance

    We use cookies to ensure you get the best experience on our website. By continuing to use our site, you accept our use of cookies, Privacy Policy, and Terms of Service.

    dailyadda

    Gujarat SIM Fraud Case: সিমকার্ড ক্লোন করে OTP হস্তগত, তার পরই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ১ কোটি ১৯ লক্ষ

    1 week ago

    নয়াদিল্লি: সাইবার জালিয়াতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জরিমানা করা হল ICICI ব্যাঙ্ক  এবং Vodafone-কে। সিম কার্ড ক্লোন করে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ জমা পড়েছিল। ১.১৯ কোটি টাকা খোয়া যায় আমদাবাদের একটি সংস্থার। সেই মামলাতেই জরিমানা করা হল ICICI ব্যাঙ্ক  এবং Vodafone-কে। (SIM Fraud Case)

    আমদাবাদের Collective Trade Links PVT. Ltd সংস্থা সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়ে ১.১৯ কোটি টাকা হারায়। সেই নিয়ে ICICI ব্যাঙ্ক ও Vodafone Idea Limited-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪৩ ও ৪৩-এ ধারা অনুযায়ী দায়ের হয়েছিল মামলা। সিমকার্ড ক্লোন করে প্রথমে OTP হাসিল করে জালিয়াতরা। এর পর সংস্থার ওভারড্রাফ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল। (Gujarat SIM Fraud Case)

    ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ওই ঘটনা ঘটে। Collective Trade Links PVT. Ltd সংস্থার ডিরেক্টর প্রকাস মেহতা ব্যবসার কাজে ভিয়েতনাম যাচ্ছিলেন। ২০২৩ সালের ১১ মার্চ তাঁর সংস্থার নাম করে অন্য একটি ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে Vodafone-কে SIM Swap-এর আবেদন জানানো হয়। অর্থাৎ যে নম্বরে OTP ঢোকার কথা, সেই ফোন নম্বর অন্য একটি সিমকার্ডে চালান করতে অনুরোধ জানানো হয় Vodafone-কে। ওই আবেদন পেয়ে বিকেল ৪.৩০-টের মধ্যেই নতুন সিম তৈরি করে দেয় Vodafone. কোনও কিছু যাচাই পর্যন্ত করে দেখেনি তারা। অথচ ওই সময়ই আসল সিমটি আন্তর্জাতিক রোমিং-এর আওতায় ছিল।

    এর পর, রবিবার ডুপ্লিকেট সিমকার্ডটি ব্যবহার করে OTP হাসিল করে নেয় জালিয়াতরা। মোট ২২ বার লেনদেন করে তারা। সব মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ICICI ব্যাঙ্কে ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে RTGS এবং NEFT-এর মাধ্য়মে বের করে নেওয়া হয় টাকা। বেনিফিশিয়ারি হিসেবে নতুন ১০ জনের নামও যুক্ত করা হয়। সংস্থার আর এক ডিরেক্টর ভরতকুমার মেহতার সেকেন্ডারি ফোন নম্বরে যতক্ষণে লেনদেনের নোটিফিকেশন ঢোকে, ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হতে থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। ICICI ব্যাঙ্কেও অভিযোগ জানানো হয়। 

    ICICI ব্যাঙ্ক সেই সময় দাবি করে, পাসওয়র্ড, OTP, MPIN-এর মাধ্যমেই যাবতীয় লেনদেন হয়, যেমনটা নির্দেশ রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। এর পরও অভ্য়ন্তরীণ স্তরে তদন্ত শুরু করে তারা। বেনিফিশিয়ারি অ্য়াকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ICICI ব্যাঙ্ক গোটা ঘটনার জন্য ওই সংস্থাকেই দায়ী করে। তাদের তরফে কোনও বিধি লঙ্ঘন হয়নি বলে জানায়। অন্য দিকে, Vodafone জানায়, আগে থেকে নথিভুক্ত থাকা একটি ইমেল আইডি থেকেই সিমকার্ড বদলের অনুরোধ আসে। সেই মতোই সব কাজ হয়। যদিও Collective Trade Links PVT. Ltd জানায়, সিমকার্ডটি যে আন্তর্জাতিক রোমিং-এর আওতায় রয়েছে, তা যাচাই পর্যন্ত করেনি Vodafone. ছুটির দিনে বিপুল টাকা লেনদেন হতে দেখেও কেন খোঁজ নিল না ICICI ব্যাঙ্ক, ওঠে সেই প্রশ্নও।

    তদন্তে জানা যায়, সিমকার্ড ক্লোন করে জালিয়াতির এই চক্র অনেক দূর ছড়িয়েছে। Vodafone-এর সিমকার্ড ব্যবহার করে এমন অন্তত ২০টি ঘটনার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। দু’টি ব্যাঙ্কের কিছু কর্মীও আতসকাচের নীচে চলে আসেন। ১৮ জন সিমকার্ড বিক্রেতার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হয়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এবছর জানুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি হয় সেই নিয়ে। ICICI ব্যাঙ্ক ও Vodafone-এর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করে ওই সংস্থা। শেষ পর্যন্ত ICICI ব্য়াঙ্ককে ১০ লক্ষ টাকা এবং Vodafone-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। ছয় সপ্তাহের মধ্যে মূল অঙ্ক, ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

    Click here to Read More
    Previous Article
    E-Cigarettes: ‘লোকসভায় বসে ই-সিগারেট সেবন করছেন তৃণমূল সাংসদরা’, স্পিকারের কাছে অভিযোগ অনুরাগ ঠাকুরের
    Next Article
    Gita Path Event: গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার ৩

    Related ভারত Updates:

    Are you sure? You want to delete this comment..! Remove Cancel

    Comments (0)

      Leave a comment