SEARCH

    Language Settings
    Select Website Language

    GDPR Compliance

    We use cookies to ensure you get the best experience on our website. By continuing to use our site, you accept our use of cookies, Privacy Policies, and Terms of Service.

    BJP News: আদি নেতাদের সামনে আনতে তৎপর বিজেপি, ২৫ ডিসেম্বর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিশেষ অনুষ্ঠান, ’২৬-এর লক্ষ্যপূরণ হবে কি?

    9 hours ago

    শিবাশিস মৌলিক: কয়েক মাস পরই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে সক্রিয় নন এমন আদি নেতাদের ফের সামনে নিয়ে আসতে তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। সেই উপলক্ষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর ন্যাশনাল লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মূলত আদি নেতাদের। তৃণমূল যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে। 'গোয়াল ঘরে গুঁতোগুঁতি দেখতে মুখিয়ে আছি' বলে মন্তব্য করেছেন ঘাসফুল শিবিরের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। (West Bengal BJP)

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের পর যে পশ্চিমবঙ্গই তাঁদের টার্গেট, খোলাখুলি সেকথা জানিয়েছেন। কিন্তু ২০২১ সালেও ২০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গ। যদিও ৭৭-এই থামতে হয়েছিল তাদের। তাই ২০২৬ সালে তৃণমূলকে সরানোর জায়গায় তারা রয়েছে কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে সাংগঠনিক দিক থেকে বুথ স্তরের সংগঠনে বিজেপি যে এখনও তৃণমূলের তুলনায় বেশ পিছিয়ে, তা বোঝা গিয়েছে SIR চলাকালীন। বেশ কিছু জায়গায় বুথ লেভেল এজেন্ট বা BLA-ই দিতে পারেনি তারা। (BJP News)

    এমন পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্দরে সক্রিয় নন এমন আদি নেতাদের ফের সামনে নিয়ে আসতে তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে, যেটি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনও। ওই দিন কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মূলত আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দলের আদি নেতাদেরই।

    পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র এই আদি নেতাদের কারও বাধা বয়স, কারও শারীরিক সমস্যা রয়েছে, কারও মনে আবার জমে রয়েছে অভিমান। এহেন বসে যাওয়া কর্মীদের নতুন করে সক্রিয় ভূমিকায় তুলে আনতে বাজপেয়ী-দাওয়াইকে ভরসা করছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্ব। সেই জন্য ২৫ ডিসেম্বর বাজপেয়ীর জন্মদিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে বসে থাকা কর্মী, বিশেষ করে নিষ্ক্রিয় কর্মী, যাঁরা অন্য দলে যাননি, তাঁদের আমন্ত্রণ করে  নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে। তাঁদের কী কী সমস্যা রয়েছে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    গতকালই এ নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "পুরনো কর্মীদের নিয়ে একটা সম্মেলনের কথা ভাবা হচ্ছে। জেলায় জেলায় তো বাজপায়ীজির জন্মদিন পালন করাই হয়। এবার একটু অন্যভাবে ভাবা হচ্ছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে একটা আয়োজন করা হচ্ছে।"

    দলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক পুরনো নেতাই। আবার অনেকে মনে করছেন, এই উদ্যোগ আগে নিলে ভাল হত। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কথায়, "দল থেকে কেউ দূরে যাননি। পার্টির বরিষ্ঠরা কোনও কারণে হয়ত দায়িত্বে নেই। তাঁরা আসবেন ওইদিন। আবার নতুন উদ্যোগে কাজ করবেন। কাজ তাঁরা করছেন, এমন নয় যে কাজ করছেন না। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকের নেই। কারণ এখন তো অনেকে নতুনরা দায়িত্বে আছেন। সেই যোগাযোগটা হবে, এবং বিভিন্ন জেলার যারা পদাধিকারী ছিলেন, তাদেরকে যুক্ত করা হবে সেই সম্মেলনে। অনেকদিন অনেকের সঙ্গে দেখা হয় না। আমারই দেখা হয় না। আমি তো এতো পুরনো কার্যকর্তা।"

    পুরনোদের আনতে গেলে আবার আদি-নব্য দ্বন্দ্ব দেখা দেবে না তো? বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্চী বলেন, "পুরনো-আদি বলে কিছু নেই। নিষ্ক্রিয় যাঁরা বসে আছেন, তাদের আনতে হবে। মোদিজি যখন বলেছেন পরিবর্তন আনতে হবে, তখন করতেই হবে। এই উদ্যোগ আগেই নেওয়া উচিত ছিল।"

    বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে দল। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি।
    ৪১ দিনে রাজ্য জুড়ে ১৩ হাজার পথসভার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনই ১ হাজার ৩০০টি সভা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সেখানে অনেক আদি নেতাদেরকেও দেখা গিয়েছে। যদিও বিজেপির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের মুখপাত্র অরূপ বলেন, "শমীকের হাতে ব্যাটন দিয়ে শুভেন্দুর ডানা ছাঁটা শুরু হয়েছিল। আমরা উদগ্রীব হয়ে বসে আছি এই গোয়াল ঘরের গুঁতোগুঁতি দেখতে। বাজপেয়ী আর বসে যাওয়ার কথা বলেই মনে পড়ে আডবাণীজির কথা। মোদিকে বাজপেয়ীজি রাজধর্মের কথা মনে করিয়েছিলেন মনে আছে তো! সেদিনও মোদি মানেননি, আজও মানছেন না।"

    আলিপুরদুয়ার দুর্গাপুর বা দমদম, 'মিশন বাংলা'র জন্য বিজেপি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলেছেন মোদি। বসে যাওয়া কর্মীদের ফের রাজনৈতিক মঞ্চে এনে, ঐক্যের বার্তা দিয়ে সরকারে পরিবর্তন আনতে পারবে কি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি? উত্তর দেবে নির্বাচনের ফল।

    Click here to Read More
    Previous Article
    Suvendu Adhikari: 'অনেক এলাকার নাম আগামীদিনে ঔরঙ্গজেবের নামে করবে', মমতাকে 'সরানোর' ডাক শুভেন্দুর
    Next Article
    ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে অধিকার বুঝে নেব, উন্নতি বুঝে নেব, মন্তব্য হুমায়ুনের

    Related জেলার খবর Updates:

    Comments (0)

      Leave a Comment